মিরু হাসান বাপ্পী | বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: আল্লাহর দরবারে গুণাহ মাফ, আত্মশুদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বগুড়া শহরের ঝোপগাড়িতে তিনদিনের আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মজসিদের শুরা হযরত সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। লাখো মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় ১০ মিনিটের মোনাজাতের সময় লাখো মুসল্লির কান্না ও আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা প্রাঙ্গন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ফজরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে বগুড়া শহরতলীর ঝোপগাড়িতে মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই মসুল্লিরা ইজতেমা স্থলে আসতে শুরু করে। ইজতেমা মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহাসড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, বাসাবাড়ি এবং খোলা স্থানে, বাস-ট্রাকে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
এর আগে লাখো মুসল্লি শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নয় একর আয়তনের মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহাসড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, বাসাবাড়ি এবং খোলা স্থানে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহ আলম বলেন, আখেরি মোনাজাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে গুণাহ মাফ, আত্মশুদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
তিনি বলেন, করোনা ও ওমিক্রনের জন্য গতবারের তুলনায় মুসল্লি কম এসেছে।
বগুড়ার সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, মসুল্লিদের নিরাপত্তায় ইজতেমা ময়দানের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাত-দিন ভাগ করে পালাক্রমে তারা দায়িত্ব পালন করছেন।